সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন শতাধিক ব্যক্তি। বিমানটিতে কতজন এসেছেন- জানতে চাইলে সংখ্যাটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ডা. শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, অ্যাডজেক্ট ফিগারটা এখনও বলতে পারছি না। সাড়ে ৫টায় দুবাই থেকে যখন ফ্লাইট ডিপার্চার করে, তখন আমাদের জানানো হয়েছিল ১২৫ জন পূর্ণ বয়স্ক এবং দেড় বছরের একটি শিশু।
পরে আমরা হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখি মেলে না। সংখ্যাটি বেশি হতে পারে। এখন আমরা নিয়ে এসেছি, দেখতে হবে কত এসেছেন।
শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসার পর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি নেয়া হয়েছে আশকোনার হজ ক্যাম্পে।
সম্ভাব্য ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এই ব্যক্তিদের সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
এর আগে চীনের উহান থেকে আসা বাংলাদেশিদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।
কারও মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ না পেয়ে ১৪ দিন পর তাদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়।
ইতালির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার নতুন করে আরও আড়াই হাজারের অধিক ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১১২ জনে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৪৩৯ জন রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পুরো দেশ রেডজোনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করার পর থেকেই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ।দেশটির ব্যস্ততম শহর গুলো পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে নগরীতে। পুরো দেশ যেন এক আতঙ্কের নগরী।
এ দিকে দেশটির পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাময়িকভাবে সকলপর্যায়ের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে।
শহরগুলোর সবখানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ অফিস বন্ধ হয়ে গেছে। আদালতের কার্যক্রম ৩১ মে পর্যন্ত স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট এলাকাগুলো একেবারে ফাঁকা। হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ব্যবসায় ধস নেমেছে। অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি বেকার হয়ে পড়ছে।
সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট, আলিমেন্টারি খোলা রাখা যাবে তবে প্রায় বেশির ভাগই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।